যাদেরকে সাহায্য করার আগে দুবার ভাবা উচিত
সবারই সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু কিছু মানুষ সাহায্যকে ভুলভাবে ব্যবহার করতে পারে। আসুন দেখি, এমন আট ধরনের মানুষের কথা যাদের জন্য সাহায্য প্রদান ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে:
- সবসময় অভিযোগকারীরা: এরা সমস্যা নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে, সমাধান খোঁজে না। তাদের সাহায্য করলে নেতিবাচকতা ছড়ায়, যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
- ভিক্টিম মেন্টালিটি: এই ধরনের মানুষ সবসময় অন্যদের দোষারোপ করে, নিজেদের সমস্যা থেকে সরে দাঁড়ায়। তাদের সাহায্য করার ফলে তাদের দায়িত্বহীনতাকে আরো উৎসাহিত করা হতে পারে।
- প্রতারকরা: এরা সাহায্যকে নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করে। মনোবিজ্ঞানের গবেষণা দেখায়, এদের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখলে আপনি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
- অজুহাত প্রদানকারী: এরা কাজ না করার জন্য অজুহাত দেয়, ফলে সাহায্য তাদের জীবনযাত্রায় উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে না।
- নার্সিসিস্টরা: এরা নিজের উপর অতিরিক্ত মনোযোগ চায় এবং অন্যের প্রয়োজনের প্রতি উদাসীন থাকে। গবেষণায় দেখা যায়, এরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করায় সহায়তাকারীরা অসম্মানিত অনুভব করেন।
- শক্তি শোষকরা: এরা এতো বেশি নেতিবাচকতা ছড়ায় যে, তাদের সহচরিতায় আপনি মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। এদের সাথে সময় কাটালে আপনার প্রফুল্লতা নষ্ট হতে পারে।
- কৃতজ্ঞতাবিহীনরা: এরা সাহায্যকে স্বাভাবিক মনে করে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। কৃতজ্ঞতা অভাবিত হলে সহায়তাকারীরা অপমানিত বোধ করেন।
- অবিরাম গ্রাহকেরা: এরা সাহায্য চায় কিন্তু কখনোই তা ফিরিয়ে দেয় না। এ ধরনের সম্পর্ক অসম্পূর্ণ থেকে যায় এবং আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হয়।
এই ধরণের মানুষদের সাথে সাবধানতা অবলম্বন করুন। সঠিক মানুষকে সাহায্য করলে, সাহায্যকারীরও মানসিক স্বস্তি বৃদ্ধি পায়।
This post is also available in: English
Responses