সংবিধান ও গঠনতন্ত্র

ভূমিকা

১৮ জুন ২০১৬, সকল প্রাক্তন ব্যাচের একটি ইফতার অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশন গঠনের লক্ষ্যে হৃদয় হিরা (১ম ব্যাচ) আহ্বায়ক এবং ১০ জন যুগ্ন আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম (১ম ব্যাচ), জনি দাস (১ম ব্যাচ), আ ন ম আতাউল্লাহ (১ম ব্যাচ), মহিউদ্দিন আতিক (২য় ব্যাচ), স ম সুমন জিকু (২য় ব্যাচ),  মো আলামিন (২য় ব্যাচ),  শৈলেন সাহা (৩য় ব্যাচ), আব্দুল্লাহ মো আল আমিন (৩য় ব্যাচ), মো কামরুল হাসান সেলিম (৪র্থ ব্যাচ), প্রণব রয় (৪র্থ ব্যাচ) ও ৪ জন আই টি উপদেষ্টা মোঃ সাইদুল করিম রিয়াজ (১ম ব্যাচ), মো ইমরানুল হক শিমুল (২য় ব্যাচ), মো তারেক আজিজ (৩য় ব্যাচ) ও শান্তনু শুভ্র (৪র্থ ব্যাচ) সমন্বয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়, যাদের তত্ত্বাবধানে সংবিধান প্রণয়ন এবং অ্যাসোসিয়েশন সংগঠিত হয়। ২৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে একটি সফল নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান সকল সদস্যের শতভাগ গনভোটে পাশ করে ও অ্যাসোসিয়েশন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়।

ধারা-১

নামঃ

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নোয়াখালী অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন

ধারা-২

প্রধান কার্যালয়ঃ

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।

ধারা-৩

বর্তমান ঠিকানাঃ

ঢাকায় অবস্থিত হবে

ধারা-৪

সংজ্ঞাঃ বিষয় ও প্রসঙ্গের প্রয়োজনে অনুরূপ না হইলে এই গঠনতন্ত্রে;

ক. ‘অ্যাসোসিয়েশন’ অর্থ – টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নোয়াখালী অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন;
খ. ‘অ্যালামনাই’ অর্থ – টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী এর নূন্যতম স্নাতক সার্টিফিকেট অর্জনকারী যে কোন ব্যক্তি;
গ. ধারা ও বিধি অর্থ -অত্র গঠনতন্ত্রের ধারা এবং এর অধীনে প্রণীত বিধি ও উপ-বিধিসমূহ;
ঘ. বৎসর অর্থ – ১ জানুয়ারি হইতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত;
ঙ. সদস্য অর্থ –  সাধারণভাবে কোথাও সদস্য শব্দ ব্যবহৃত হলে তা সাধারণ ও আজীবন সদস্য হিসেবে নেয়া হবে;
চ. সম্পত্তি অর্থ – নগদ তহবিলসহ অ্যাসোসিয়েশনের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ;
ছ. স্নাতক অর্থ – স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সনদ প্রাপ্ত ব্যক্তি;
জ. কর্মচারী অর্থ – কর্মকর্তা ও কর্মচারী;
ঝ. সাধারণ পরিষদ অর্থ – সকল সাধারণ ও আজীবন সদস্যদের নিয়ে গঠিত পরিষদ;
ঞ. ভোট অর্থ – কোন বিষয়ে সম্মতি। তা তাড়িৎ বা প্রত্যক্ষ সম্মতিতে হতে পারে। তবে কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন ও সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত প্রত্যক্ষ ভোটে হতে হবে;
ট. সাধারণ সভা অর্থ – অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্যদের নিয়ে সভা। যেখানে অন্তত ৫০ জন উপস্থিত থাকিতে হইবে;
ঠ. বার্ষিক সাধারণ সভা অর্থ – সকল সদস্যদের নিয়ে সাধারণ সভা।

ধারা-৫

আওতাঃ

সমগ্র বাংলাদেশ। অন্যান্য যেকোন দেশে ইহার কার্যক্রম সমপ্রসারণ করা যাইবে।

ধারা-৬

মর্যাদাঃ

‘অ্যাসোসিয়েশন’ একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংস্থা।

ধারা-৭

সীলমোহরঃ

অ্যাসোসিয়েশনের একটি সীলমোহর থাকিবে, যাহা সাধারণ সম্পাদকের হেফাজতে থাকিবে।

ধারা-৮

উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী ও এর অ্যালামনাইদের কল্যাণে নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে ও লক্ষ্যে ‘অ্যাসোসিয়েশন’ পরিচালিত হইবে,

ক. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী -এর ভাবমুর্তি উন্নত করা;
খ. অ্যালামনাইদের মধ্যে একতা, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ স্থাপন এবং একে- অন্যকে যথাসম্ভব সাহায্য ও সহযোগিতা করা;
গ. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী -এর ছাত্রদের স্বার্থ রক্ষা করা;
ঘ. সাহায্য পাওয়ার যোগ্য ছাত্রদের সহায়তার জন্য তহবিল প্রতিষ্ঠা করা;
ঙ. অ্যালামনাইদের জন্য সমাবেশ, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশিবির, প্রদর্শনী ও আমোদ ভ্রমণের আয়োজন করা;
চ. লাইব্রেরি, মিউজিয়াম, কনফারেন্স সেন্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, গবেষণাগার, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা;
ছ. নিয়মিত ‘বুলেটিন’, সাময়িকী, পুস্তক মুদ্রণ ও বিভিন্ন প্রকাশনা প্রকাশ করা;
জ. সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা;
ঝ. দেশে ও বিদেশে অ্যালামনাইদের সংগঠন গড়ে তোলা;
ঞ. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী -এর শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে সহযোগিতা করা;
ট. শিক্ষার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা;
ঠ. উপরোক্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলী অর্জনে তথা অ্যালামনাইদের  প্রতি দায় মোচনের ক্ষেত্রে সহায়ক এরূপ অন্য সকল কার্যাবলী সম্পাদন করা।

ধারা-৯

শাখাঃ

ক. ন্যূনতম ২১ জন অ্যালামনাই সমন্বয়ে বিদেশে অত্র প্রতিষ্ঠানের শাখা খোলা যাইবে। বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরে শাখাসমূহ খুলিতে হইলে ন্যূনতম ৫০ জন এবং জেলা শহরে শাখা খুলিতে হইলে ন্যূনতম ২৫ জন অ্যালামনাই থাকিতে হইবে। তবে তাহাদের অবশ্যই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নোয়াখালী অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হইতে হইবে।
খ. ঢাকার বাহিরে কোন স্থানে পঁচিশ জন সম্ভাব্য সদস্য থাকিলে কমপক্ষে পাঁচজনের একটি সাংগঠনিক শাখা গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবেন। কমপক্ষে পনের জনের সদস্যভুক্তির পর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বরাবর স্বীকৃতির জন্য দরখাস্ত করা যাইবে। তবে শাখাটি তার কার্যক্রম ধারা ৯(ক) পূর্ণ করার পর শুরু করতে পারবে।
গ. অ্যাসোসিয়েশনের শাখার কার্যনির্বাহী কমিটি একজন সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি, একজন অর্থ সম্পাদক, একজন শাখা সম্পাদক, একজন সহকারী শাখা সম্পাদকের সমন্বয়ে গঠিত হইবে।
ঘ. স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শাখার নাম হইবে,  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নোয়াখালী অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন,——– শাখা (স্থানের নাম)।
ঙ. শাখাসমূহ নিজ নিজ স্থানে অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সাধনের জন্য কাজ করিবে।
চ. শাখার বার্ষিক প্রতিবেদন ও সদস্যদের তালিকা মুল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদকের বরাবর নিয়মিত প্রেরণ করিতে হইবে।
ছ. শাখার সদস্য অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য বলিয়া গণ্য হইবেন। তবে, তাঁরা ইচ্ছা করিলে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নোয়াখালী অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ মূল অ্যাসোসিয়েশনেরও সদস্য হইতে পারিবেন।
জ. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর আজীবন ও সাধারণ সদস্যদের চাঁদা সংশ্লিষ্ট শাখা কর্তৃক অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক/ সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করিতে হইবে।
ঝ. অনুমোদিত প্রকল্প-ব্যয় নির্বাহের জন্য অ্যাসোসিয়েশন শাখাসমূহের নামে অর্থ বরাদ্দ করিতে পারিবে।
জ. অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজে সংশ্লিষ্ট কোন কাজে যে কোন শাখা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী -এর কাছে অর্থ পাঠাইতে পারিবে।
ঝ. সাধারণ পরিষদ ও কার্যনির্বাহী কমিটি সম্পর্কিত বিধানগুলি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শাখাসমূহের কমিটি ও সাধারণ সভার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
ঞ. বিদেশস্থ শাখাসমূহ বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম কেন্দ্রের অর্থাৎ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নোয়াখালী অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর সহিত সুষ্ঠু সমন্বয়পূর্বক পরিচালিত করিবে।
ট. অ্যাসোসিয়েশনের শাখায় শাখার একটি সীলমোহর থাকিবে, যাহা শাখা সম্পাদকের হেফাজতে থাকিবে।

ধারা-১০

সদস্যপদঃ

অ্যাসোসিয়েশনে নিম্নোক্ত চার ধরনের সদস্য থাকিবে,

ক. সাধারণ সদস্যঃ সাধারণ সদস্যপদ কেবলমাত্র ৪খ. ধারাতে সংজ্ঞায়িত অ্যালামনাইগণের জন্য নির্ধারিত থাকিবে।

খ. আজীবন সদস্যঃ অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য কেবলমাত্র ৪খ. ধারাতে সংজ্ঞায়িত অ্যালামনাইগণের জন্য নির্ধারিত থাকিবে। কোন সম্মানিত সদস্যকে আজীবন সদস্যপদ প্রদানের প্রস্তাব কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক বিবেচিত হইতে হইবে ও বার্ষিক সাধারণ সভায় এ বিষয়ে অবহিত করিতে হইবে।

গ. সম্মানসুচক সদস্যঃ কার্যনির্বাহী কমিটি প্রয়োজনবোধে সেইসব নন-অ্যালামনাইদের, যাঁহারা অ্যাসোসিয়েশনের মর্যাদা ও স্বার্থের উন্নয়নে/পরিবর্ধনে সহায়ক, দাতা, স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গকে সম্মানসুচক সদস্যপদ প্রদান করিতে পারিবে। তবে, সম্মানসুচক সদস্যদের কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ কিংবা ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে না। কার্যনির্বাহী কমিটি কোনো প্রখ্যাত ব্যক্তির জন্য সন্মাননা সদস্যপদের সিদ্ধান্ত নেবে এবং প্রস্তাবটি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ৭০ শতাংশ পেয়ে পাস করতে হবে। যাহা প্রয়োজনবোধে পুর্ণবিন্যাস করা যাইতে পারে। তবে পুর্ণবিন্যাস করার প্রস্তাব সাধারণ পরিষদের বিবেচনার জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক উপস্থাপিত হইবে।

ঘ. সহযোগী সদস্যঃ চলমান ছাত্রদের মধ্যে সর্ব জ্যেষ্ঠ ব্যাচ সহযোগী সদস্য হতে পারবে। সহযোগী সদস্যপদ গ্রহণ করে ওয়েব ডিরেক্টরি তে প্রবেশাধিকার পাবে।

ধারা-১১

সদস্যভুক্তির নিয়মাবলীঃ

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নোয়াখালী -এর যেকোন অ্যালামনাই (৪খ) অত্র অ্যাসোসিয়েশনের সংবিধানের বিধি ও নিয়মাবলীর প্রতি পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপন করিয়া নির্ধারিত ফি প্রদান পূর্বক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার জন্য নির্ধারিত আবেদন ফর্মে আবেদন করিতে পারিবেন এবং আবেদন সদস্য সচিব কর্তৃক অনুমোদিত হইলেই আবেদনকারী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসাবে গণ্য হইবেন। শর্ত থাকে যে, সদস্য সচিব যে কোন আবেদন গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখান করার সর্বময় ক্ষমতা সংরক্ষণ রাখে।

ধারা-১২

সদস্য বইঃ

অ্যাসোসিয়েশনের একটি সদস্য-বই থাকিবে। সদস্য সচিব বরাবর লিখিত আবেদন করিয়া যে কোন সদস্য অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য-বহি পরিদর্শন করিতে পারিবেন। সদস্যদের শ্রেণী অনুসারে, বর্তমান বছরের দেয় চাঁদা এবং বকেয়া দেখাইয়া প্রতি বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে একটি নতুন সদস্য তালিকা তৈরি করিয়া তাহা পরিদর্শন ও যাচাইয়ের জন্য অফিস খোলার দিনগুলোতে অফিসে ও ওয়েবসাইটে রাখা হইবে এবং নির্ধারিত মূল্যে ইহার কপি খরিদ করা যাইবে অথবা ইহা হইতে ব্যক্তিগতভাবে নোট টুকিয়া নেওয়া যাইবে। সদস্য-বহি সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের নোটিশের তারিখ পর্যন্ত পরিদর্শনের জন্য পাওয়া যাইবে।

ধারা-১৩

সদস্যদের অধিকার ও সুবিধাঃ

ক. সাধারণ সভায় উপিস্থিত হওয়া, আলোচনায় অংশগ্রহণ ও প্রস্তাব পেশ করা।
খ. বিধি মোতাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা দাবি করা এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়া।
গ. অ্যাসোসিয়েশনের যে কোন কমিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। তবে শাখা কমিটির ক্ষেত্রে শাখার সদস্যরাই সংশ্লিষ্ট শাখার যে কোন নির্বাচনে অংশ নিবে।
ঘ. ভোট প্রদান করা।
ঙ. অ্যাসোসিয়েশনের কোন প্রতিনিধি দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া।
চ. অ্যাসোসিয়েশনের উন্নয়নের স্বার্থে পরামর্শদান বা নির্বাচন কমিশনে কাজ করা।
ছ. আপাদকালীন প্রয়োজনে সদস্য সংগঠন থেকে সহায়তার জন্য আবেদন করা (যথা চাকুরি, আর্থিক, শিক্ষা সহায়তা, দুর্ঘটনা ইত্যাদি)
জ. প্রত্যেক সদস্যকে কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি সদস্য-কার্ড বা পরিচয়পত্র দেওয়া হইবে।

ধারা-১৪

সদস্যপদ বাতিলঃ

নিম্নলিখিত কারণে সদস্যপদ বাতিল হইবে, যদি কোন সদস্য-

ক. স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন; সদস্যপদ ত্যাগে ইচ্ছুক সদস্যকে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র সদস্য সচিবের নিকট পাঠাইতে হইবে। সদস্য সচিব কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা যাইবে। এ বিষয়ে সদস্য সচিবের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে; এরুপ পদত্যাগপত্র গৃহিত হইলে, সেই সদস্য আর কোনদিন সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন না।
খ. সাধারণ সদস্যদের ক্ষেত্রে অ্যাসোসিয়েশনের প্রাপ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পর পর দুইবার পরিশোধে ব্যর্থ হন;
গ. যদি মৃত্যুবরণ করেন;
ঘ. মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হন;
ঙ. অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র, বিধি ও নিয়ম-শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত হন অথবা কোন সদস্যের আচরণ বা কার্যকলাপ অ্যাসোসিয়েশনের মর্যাদা ও স্বার্থহানিকর বা ক্ষতিকর বলিয়া বিবেচিত হন;
চ. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হন।

ধারা-১৫

বহিস্কারঃ

কোন সদস্য অ্যাসোসিয়েশন বা গঠনতন্ত্র বহির্ভূত বা অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য-এর বিরুদ্ধে ক্ষতিকর কোন কাজ করিলে এবং এতদ্বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করিয়া ও সদস্য সচিবের প্রাথমিক তদন্তপূর্বক কার্যনির্বাহী কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ কমিটির সদস্যের সমর্থনে অনুমোদনক্রমে সাময়িকভাবে তাহার সদস্যপদ স্থগিত এবং অভিযোগ দণ্ডে অভিযোগ প্রমানিত হইলে তাহাকে বহিস্কার করা যাইবে।

ধারা-১৬

পুনঃ সদস্যভুক্তিঃ

ধারা ১৪ (ক) ব্যতিরিকে যে সকল সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হইলে তিনি/তাঁহারা কার্যনির্বাহী কমিটির শর্তপুরণ এবং ধারা ১১ অনুযায়ী সদস্যপদ পুনর্বহালের আবেদন করিলে সদস্য সচিব তাহা বিবেচনা করিতে পারিবে।

ধারা-১৭

অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক কাঠামো নিম্নরূপ-

ক. পৃষ্ঠপোষকমণ্ডলী ও উপদেষ্টামণ্ডলীঃ

১. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কলেজ, নোয়াখালী অধ্যক্ষ মহোদয় পদাধিকার বলে অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক থাকিবেন। তাছাড়া, অধ্যাপক ও রেজিস্টার মহোদয় পদাধিকার বলে অ্যাসোসিয়েশনের পৃষ্ঠপোষক থাকিবেন।
২. অ্যালামনাইদের মধ্য হইতে বরেণ্য, বিশিষ্ট ব্যক্তি যাঁহারা অ্যাসোসিয়েশনের কল্যাণে অবদান রাখিয়াছেন, তাঁহাদেরকেই অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া যাইবে। এই মনোনয়ন তালিকা এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর গঠনপ্রণালী ও কার্যাবলী সময়ে সময়ে কার্যনির্বাহী কমিটি চূড়ান্ত করিবে। যাহা প্রয়োজনবোধে পুর্ণবিন্যাস করা যাইতে পারে। পৃষ্ঠপোষক নিয়োগের পুর্ণবিন্যাসের সাধারণ পরিষদের বিবেচনার জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক উপস্থাপিত হইবে।

খ. কার্যনির্বাহী কমিটিঃ

ধারা ২১ অনুযায়ী সংগঠনের একটি নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি থাকিবে। কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যদের কমিটির সভায় সমান ভোটাধিকার থাকিবে।

গ. সাব-কমিটিঃ

কার্যনির্বাহী কমিটি প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিষয়ে ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাব কমিটি গঠন করিতে পারিবে। সাব কমিটিতে অন্তত একজন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য থাকতে হবে। সাব কমিটি যে বিষয়ে গঠিত হবে তার কার্যাবলী সে বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকিবে। এর বাইরের কোন বিষয়ের সম্পর্কিত হলে তাকে কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে সমন্বয় করতে হবে।

ঘ. কর্মচারীঃ

সংগঠনের দৈনিক কাজ পরিচালনা করতে কার্যনির্বাহী কমিটি প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করতে পারবে। কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব প্রাপ্ত থাকবে।

ধারা-১৮

সাধারণ পরিষদের সভা আহ্বানঃ

ক. সভাপতির দুই সপ্তাহের নোটিশে সাধারণ পরিষদের সভা আহবান করিতে পারিবেন। তবে, বার্ষিক সাধারণ সভা কমপক্ষে দুই মাসের নোটিশে আহ্বান করিতে হইবে।
খ. কোন জরুরি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি সাধারণ পরিষদের সভা যে কোন সময়ের নোটিশে আহবান করার ক্ষমতা রাখেন।

ধারা-১৯

ক. বার্ষিক সাধারণ সভার কোরামঃ

সাধারণ পরিষদের সভা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় উপস্থিতি সংখ্যা তথা কোরাম হইবে নূন্যতম ৫০ জন সদস্যের উপস্থিতি, তবে নির্দিষ্ট তারিখে সভার জন্য নির্ধারিত সময়ের আধ ঘন্টার মধ্যে যদি প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য উপস্থিত না হন এবং অন্য কোন ঘোষণা না থাকে, উক্ত সাধারণ পরিষদের সভা মুলতবী গণ্য হইবে এবং তিন দিনের মধ্যে সময়, স্থান পরবর্তীতে জানাতে হবে। মুলতবী সভার পরবর্তী অধিবেশনের জন্য নির্ধারিত সময়ের আধ ঘন্টার মধ্যে সদস্যদের প্রয়োজনীয় উপস্থিতি না থাকিলেও উপস্থিত সদস্যদের নিয়েই সাধারণ পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং সেইক্ষেত্রে সভায় প্রয়োজনীয় উপস্থিতি আছে বলিয়া বিবেচিত হইবে।

খ. কার্যনির্বাহী সভার কোরামঃ

কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় উপস্থিতি সংখ্যা তথা কোরাম হইবে নূন্যতম অর্ধেকের বেশি। তবে নির্দিষ্ট তারিখে সভার জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য উপস্থিত না হন এবং অন্য কোন ঘোষণা না থাকে, উক্ত সাধারণ পরিষদের সভা মুলতবী গণ্য হইবে এবং তিন দিনের মধ্যে সময়, স্থান পরবর্তীতে কমিটি থেকে জানাতে হইবে।

ধারা-২০

সাধারণ পরিষদের তলবী সভাঃ সাধারণ পরিষদের নূন্যতম ৭৫% সদস্যের লিখিত তলবীপত্র অনুসারে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সভাপতি সাধারণ পরিষদের সভা আহ্বান করিবেন। তলবীপত্র পাওয়ার তারিখ হইতে ১৫ দিনের মধ্যে সভা না আহ্বান করিলে তলবী সভার জন্য পত্রে দস্তখতকারীগণ নিজেরাই যথাযথ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেই কেবল সেই নির্দিষ্ট বিষয়টি নিষ্পত্তি করিবার জন্য সভা আহ্বান করিতে পারিবেন এবং উপস্থিত সদস্যদের তিন-চতুর্থাংশ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে।

ধারা-২১

কার্যনির্বাহী কমিটিঃ

ক অ্যাসোসিয়েশনের একটি কার্যনির্বাহী কমিটি থাকিবে;
খ অ্যাসোসিয়েশনের ভোটার তালিকায় তালিকাভুক্ত সদস্যগণই কার্যনির্বাহী কমিটিতে নির্বাচিত হইবেন এবং সংবিধানের ২৪ ধারা অনুসারে কিংবা পরবর্তীতে অন্য কোন সংশোধন না হইলে বার্ষিক সাধারণ সভায় তাহাদের পরবর্তী কমিটি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করিবেন;
গ গঠনতন্ত্র মোতাবেক অনুষ্ঠেয় পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন পূর্ববর্তী নির্বাচনের ২ বৎসর পরবর্তী ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত হইবে। কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ পরবর্তী কমিটির ক্ষমতা হস্তান্তর পর্যন্ত থাকিবে;
ঙ. কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সিদ্ধান্ত কার্যনির্বাহী কমিটির উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন বা ভোটে গৃহীত হইবে;
চ. সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদের ক্ষেত্রে একই পদে পর পর দুইবার নির্বাচিত হলে পরের বার সে নির্বাচন করতে পারবে না;
ছ. পদাধিকার বলে সদ্য বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি যদি পুনরায় পরবর্তী কমিটিতে নির্বাচিত না হয় তবে পরবর্তী নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটিতে সদস্য সচিব পদে অবশ্যই বহাল হইবে। তাহাতে পূর্ববর্তী সকল কাজের সংযোগ পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটিতে থাকিবে;
জ. কার্যনির্বাহী কমিটির কোন কর্মকর্তা বা সদস্য পদত্যাগ/অব্যাহতি/অনাস্থা/বহিস্কার/অপসারণ/মৃত্যু বা অন্য কোন কারণে কার্যনির্বাহী কমিটির কোন পদ শূন্য হইলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনে কো-অপশনের মাধ্যমে উক্ত শূন্যপদ পুরণ করিতে পারিবে;
ঝ. নবনির্বাচিত কমিটি ক্ষমতা গ্রহনের ১০ দিনের মধ্যে তাদের প্রথম সভায় কো-অপশনের মাধ্যমে কমিটির সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশ ভোটে সদস্য সচিব ও আইটি উপদেষ্টা পদসমুহ নির্বাচন করিবে ও তা সাধারণ পরিষদকে অবহিত করিবে;

ধারা-২২

সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির পদসম্মুহ নিম্নরূপ,

সভাপতি : ১ জন
সহ-সভাপতি : ১ জন
সাধারণ সম্পাদক : ১ জন
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: ১ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক : ১ জন
যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক: ১ জন
অর্থ সম্পাদক : ১ জন
সহকারী অর্থ সম্পাদক : ১ জন
তথ্য ও প্রচার সম্পাদক : ১ জন
সাহিত্য, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক : ১ জন
শিক্ষা, কারিগরি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক: ১ জন
নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক : ১ জন
কার্যনির্বাহী সদস্য : ৩ জন
সদস্য সচিব: ৩ জন(পদাধিকার বলে সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি ধারা ২১-ছ অনুযায়ী তিন জনের মধ্যে একজন হবেন)
আইটি উপদেষ্টা – ৩ জন

ধারা-২৩

কার্যনির্বাহী কমিটির ক্ষমতা ও দায়িত্বঃ

ক. শূন্যপদ/নৈমিত্তিক শূন্যপদে সদস্য/কর্মকর্তা নিয়োগ দান;
খ. কমিটির মধ্য হইতে নৈমিত্তিক শূন্যপদে কর্মকর্তা নির্বাচন;
গ. কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কমিটির ভিতরের অথবা বাহিরের সদস্যদের নিয়ে স্টান্ডিং কমিটি ও সাব-কমিটি গঠন; তবে শর্ত থাকে যে, এ ধরনের কমিটি স্টান্ডিং কমিটির বিবেচনার জন্য বিষয়াবলী স্পষ্টভাবে বর্ণিত হইবে এবং ইহাতে এক বা একাধিক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অন্তর্ভূক্ত থাকিবেন; সাব-কমিটির সদস্যদের মধ্য হইতে যেকোন একজন চেয়ারম্যান/আহ্বায়ক হইবেন এবং একজন সদস্য কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে কাজ করিবেন। গঠিত কমিটি শুধুমাত্র নির্ধারিত বিষয়াবলীর জন্যই কাজ করিবে;
ঘ. গঠনতন্ত্র ও বিধিসমূহের সাথে সামঞ্জস্য রাখিয়া এমন সব ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে, যা গঠনতন্ত্র ও বিধির পরিপন্থি নয় অথচ স্পষ্টভাবে গঠনতন্ত্র ও বিধিসমূহে লিপিবদ্ধ নাই;
ঙ. অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ইহার সার্বিক উন্নয়ন ও উদ্দেশ্য সফল করার জন্য কাজ করিবে, কার্যনির্বাহী কমিটি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা ও জরুরি সাধারণ সভার সময়, তারিখ, স্থান ইত্যাদি নির্ধারণ করিবে;
চ. অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় খরচ অনুমোদন করিবে;
ছ. সম্মানসুচক সদস্য মনোনীত করিবে;
জ. উপদেষ্টামণ্ডলী ও পৃষ্ঠপোষকমণ্ডলী মনোনীত এবং এর সংখ্যা নির্ধারণ করিবে;
ঝ. অ্যাসোসিয়েশনের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনবোধে বিশেষ সাব-কমিটি গঠন করিবে;
ঞ. অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন করিবে;
ট. অ্যাসোসিয়েশনের কর্মচারী নিয়োগ ও নিয়োগের শর্তাদি অনুমোদন করিবে;
ঠ. সভার জন্য সদস্যদের নোটিশ ও বিজ্ঞপ্তি প্রদানের জন্য অনুমোদন করিবে
ড. তাঁহাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুরূপে সম্পাদনের জন্য উপ-বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে। তবে উক্ত উপ-বিধি গঠনতন্ত্রের সাথে অসামঞ্জস্য এবং অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পরিপন্থী হইতে পারিবে না। আরও শর্ত থাকে যে, কার্যনির্বাহী কমিটি প্রণীত উপ-বিধি পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করিতে হইবে।
ঢ. কার্যনির্বাহী কমিটি প্রতি মাসে ন্যূনপক্ষে একবার বৈঠকে বসিবে। কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা বা সদস্য অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন ও তাহার পদ শূন্য হইবে, যদি

তিনি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদ হারান, অথবা
সভাপতি/সাধারন সম্পাদককে তাঁহার অনুপস্থিতির কারণ লিখিতভাবে না জানাইয়া পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন।

ণ. কার্যনির্বাহী কমিটির সভার কার্য বিবরণী ও সিদ্ধান্ত নির্দিষ্ট খাতায় লিপিবদ্ধ করিয়া সংরক্ষণ করিতে হইবে। সভার কার্যবিবরণী সাধারণ সম্পাদক পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট সভার সভাপতির অনুমোদন ও স্বাক্ষর গ্রহণ করিবেন।

ধারা-২৪

কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা :

১. সভাপতিঃ

ক. অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হইবেন;
খ. তিনি অ্যাসোসিয়েশনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং সভার কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করিবেন;
গ. তিনি সভার প্রস্তাবাবলী ও সিদ্ধান্তবলী অনুমোদন করিবেন;
ঘ. প্রয়োজনবোধে তিনি গঠনতন্ত্রের যে কোন ধারা, উপ-ধারার ব্যাখ্যা/সিদ্ধান্ত দিবেন এবং তাহা চুড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে;
ঙ. সমানসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্রে কাস্টিং ভোট দিতে পারিবেন।
চ. জরুরি প্রয়োজনে নূন্যতম চব্বিশ ঘন্টার নোটিশে যে কোন সময় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডাকিতে পারিবেন।
ছ. অ্যাসোসিয়েশনের স্বার্থে যে কোন দায়িত্ব পালন সহ নতুন নতুন গঠনমূলক কর্মসূচী গ্রহন পূর্বক কার্যনির্বাহী কমিটিকে অবহিত করিবেন।

২. সহ-সভাপতিঃ

ক. সাধারণভাবে সভাপতিকে সার্বিক কাজে সহায়তা করিবেন;
খ. সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি অ্যাসোসিয়েশনের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন;
গ. মেয়াদপূর্তির আগে কোন কারণে সভাপতির পদ শূন্য হইলে সহ-সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করিবেন। সহ-সভাপতিগণের অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী কমিটির কোন সদস্যকে উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করার জন্যে নির্বাচন করা যাইতে পারে।

৩. সাধারণ সম্পাদকঃ

ক. অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন;
খ. সভাপতির পরামর্শক্রমে সভার আলোচ্যসূচি নির্ধারণ পূর্বক তিনি অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় সভা আহ্বান করিবেন;
গ. সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা করিবেন;
ঘ. সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে বার্ষিক রিপোর্ট প্রস্তুত করিবেন এবং বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ও অডিট রিপোর্ট কার্যনির্বাহী কমিটিতে ও সাধারণ সভায় পেশ করিবেন;
ঙ. সভাপতির পরামর্শক্রমে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করিবেন;
চ. অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে প্রয়োজনীয় যে কোন অনুমোদিত দলিল ও চুক্তিতে তিনি স্বাক্ষর করিবেন তবে প্রয়োজন হইলে বিশেষ ক্ষেত্রে সভাপতি এই ধরনের চুক্তি কিংবা দলিল সহ অন্যান্য ডকুমেন্ট স্বাক্ষর করিতে পারিবেন;
ছ. সভাপতির সঙ্গে আলোচনাক্রমে বিভাগীয় সম্পাদক ও কমিটি সদস্যদের মধ্যে কার্যাবলী সমন্বয় করিবেন;
জ. সম্পাদকবৃন্দকে তাঁহাদের নিজ নিজ দপ্তরের কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য উপদেশ ও পরামর্শ দিতে পারিবেন;
ঝ. নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক রির্পোট/রির্টার্ণ দাখিল করিবেন;
ঞ. কমিটির অনুমোদনক্রমে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে মামলা-মোকদ্দমা দায়ের ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করিবেন;
ট. সভাপতির পরামর্শক্রমে ৭ দিনের নোটিশে কিংবা প্রয়োজনানুসারে জরুরি অন্যান্য সভাসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নিয়মিত সভা আহ্বান করিবেন;

৪. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকঃ

ক. সাধারণভাবে সাধারণ সম্পাদকের সার্বিক কাজে সহায়তা করিবেন;
খ. সাধারণ সম্পাদক অনুপস্থিতিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব পালন করিবেন;

৫. সাংগঠনিক সম্পাদকঃ

ক. তিনি অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক কার্যকলাপ পরিচালনা করিবেন;
খ. সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখিবেন এবং অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকাণ্ড সমপ্রসারণ করার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন;
গ. সাধারণ সম্পাদকের সাথে পরামর্শক্রমে দপ্তর সম্পাদক অ্যাসোসিয়েশনের সকল দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করিবেন এবং অ্যাসোসিয়েশনের সকল রেকর্ডপত্র রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন। তিনি অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রমের পরিসংখ্যান ও রিপোর্ট তৈরি করিবেন এবং তাহা সংরক্ষণ করিবেন;
ঘ. সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সভায় সভাপতিত্ব করিবেন;
ঙ. অ্যাসোসিয়েশনের শাখা গঠনের বিষয়ে তিনি মতামত দিবেন ও কার্যনির্বাহী কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পেশ করিবেন;

৬. যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদকঃ

ক. সাধারণভাবে সাংগঠনিক সম্পাদকের সার্বিক কাজে সহায়তা করিবেন;
খ. সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার পদের দায়িত্ব পালন করবে;

৭. অর্থ সম্পাদকঃ

ক. অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করিবেন এবং কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনের জন্য তাহা পেশ করিবেন;
খ. নির্ধারিত ব্যাংকে অ্যাসোসিয়েশনের টাকা রাখার বিধিমত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন;
গ. অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় আয় ও ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ বার্ষিক রিপোর্ট আকারে সাধারণ সভায় পেশের জন্য সময়মত তৈরি করিয়া দিবেন এবং বার্ষিক অডিট করাইবেন;
ঘ. অ্যাসোসিয়েশনের তহবিল বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবেন এবং তাহা কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে বাস্থবায়ন করিবেন;
ঙ. সদস্যদের চাঁদা ও অন্যান্য অনুদান আদায়ের ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন;
চ. চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা দেয়ার বই, চেক বই, অ্যাসোসিয়েশনের সকল প্রকার হিসাবপত্র, বিল-ভাউচার ও হিসাব সংক্রান- অন্যান্য সকল কাগজপত্র তাহার তত্ত্বাবধানে থাকিবে;
ছ. তিনি অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় ব্যয় যথাসম্ভব চেকের মাধ্যমে সম্পাদন করিবেন;
জ. অ্যাসোসিয়েশনের জরুরি ব্যয় নির্বাহের জন্য সাধারণ সম্পাদকের জ্ঞাতসারে তিনি সর্বোচ্চ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা নিজের কাছে নগদ রাখিতে পারিবেন;
ঝ প্রচলিত হিসাব বিজ্ঞানের সকল আধুনিক হিসাবরক্ষণ নীতি অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবরক্ষণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে যা কোষাধ্যক্ষ’র তদারকিতে পরিচালিত হইবে;

৮. সহকারী অর্থ সম্পাদকঃ

ক. সাধারণভাবে অর্থ সম্পাদকের সার্বিক কাজে সহায়তা করিবেন;

৯. তথ্য ও প্রচার সম্পাদকঃ

ক. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নোয়াখালী’র অ্যালামনাইদের মধ্যে অত্র অ্যাসোসিয়েশনের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও চলতি কর্মসূচিসমূহ প্রচার ও জনপ্রিয় করার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান/কর্মসূচির আয়োজন করিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে প্রচারপত্র, পোস্টার, লিফলেট ও পুস্তিকা ইত্যাদি প্রকাশের ব্যবস্থা করিবেন।
খ. তিনি অ্যাসোসিয়েশনের অনুকুলে সকল কার্যক্রম বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের সকল ব্যবস্থাদি গ্রহণ করিবেন। বিশেষ বাহক মারফত, ডাকযোগে অথবা খবরের কাগজের মাধ্যমে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের নিকট নোটিশ প্রেরণ করিবে;

১০. সাহিত্য, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদকঃ

ক. অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সাময়িকী/মুখপাত্র ইত্যাদি প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করিবেন;
খ. অ্যাসোসিয়েশনের সকল বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানাদি, যেমন- সংগীত, নাটক, নৃত্য, ক্রীড়া ইত্যকার অনুষ্ঠান আয়োজন ও কার্যক্রম পরিচালনা করিবেন;

১১. শিক্ষা, কারিগরি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকঃ

ক. শিক্ষা বিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করিবেন এবং অ্যাসোসিয়েশনের পাঠাগার সংরক্ষণ ও পরিচালনায় যথাযথ ভূমিকা পালন করিবেন;
খ. অ্যাসোসিয়েশনের সমাজকল্যাণ , কারিগরি অবদান বাড়াবেন;

১২. নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদকঃ

ক. অ্যাসোসিয়েশন ও কলেজের নারী ও শিশু বিষয়ক বিষয়ক দিক গুলো সার্বক্ষণিক যত্নের সাথে দেখা, তা সমাধান করা;
খ. বিষয় সম্পর্কিত রাষ্ট্রীয় সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখা;
গ. সামগ্রিক ভাবে কলেজ ও অ্যাসোসিয়েশনের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করা;

১৩. কার্যনির্বাহী সদস্যঃ

ক. সাধারণ সম্পাদক বা কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করিবেন;
খ. কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম পরিচালনায় সর্বপ্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করিবেন;

১৪. সদস্য সচিবঃ

ক. নির্বাচন কমিশন গঠন;
খ. সকল নতুন সদস্যদের আবেদনপত্র বিবেচনা ও চূড়ান্ত অনুমোদন করিবে;
গ. সম্মানসুচক সদস্য পদের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটিতে নাম প্রস্তাব করবে;
ঘ. সাধারন সদস্য ও কার্যনির্বাহী কমিটির মধ্যে সমন্বয় সাধন ও মধ্যস্ততা করিবে;
ঙ. অ্যাসোসিয়েশনকে শক্তিশালী করার জন্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নোয়াখালী’র অ্যালামনাইদের এবং চলমান ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করিবেন এবং সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাইবেন;

১৫. আইটি উপদেষ্টাঃ

ক. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নোয়াখালী এলাম্নাই এ্যাসোসিয়েশন প্রচারনায় কার্যনির্বাহী কমিটিকে সহায়তা করবেন;
খ. সদস্যদের যোগাযোগ সহায়তার জন্য আইটি ভিত্তিক সকল কারিগরি দিক ব্যাবস্থাপনা ও তা উন্নয়ন;
গ. অ্যাসোসিয়েশনের যে কোন প্রয়োজনে কারিগরি দিক গুলো রক্ষনাবেক্ষনে সাহায্য করিবেন;

ধারা-২৫

কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনঃ

ক. সাধারণ ও আজীবন সদস্যদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে কিংবা সর্বসম্মতিক্রমে একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হইবে;
খ. সর্বশেষ কলেজ থেকে পাশ করা পাচটি ব্যাচের প্রতি ব্যাচ থেকে একজন করে পাচ সদস্য বিশিষ্ট কমিশন হবে;
গ. কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস পূর্বে সদস্য সচিব নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তা মেধাক্রম কিংবা ব্যাচ এর জনমত অনুযায়ী কিংবা সদস্য সচিবের দেয়া এমন পন্থা যাতে সবাই একমত থাকে এমন পন্থায় নির্ধারণ ও কমিশনার মনোনয়ন করিতে হবে;
ঘ. কমিশনের জ্যেষ্ঠ কমিশনার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবে;
ঙ. নির্বাচন কমিশন কার্যনির্বাহী কমিটির সহযোগিতায় ভোটার তালিকা প্রণয়ন করিয়া সকলের অবগতির জন্য প্রকাশ করিবেন;
চ. নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের অন্তত এক মাস পূর্বে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করিবেন;
ছ. অ্যাসোসিয়েশনের সকল বৈধ সদস্য ভোটার হিসাবে গণ্য হইবেন। তবে আসন্ন নির্বাচনের অন্তত ছয় মাস পূর্বে যাহারা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত হইবেন, কেবল তাহারাই নির্বাচন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন;
জ. যে কোন পদের প্রার্থী হইতে হইলে তাহাকে অবশ্যই ভোটার হইতে হইবে।
ঝ. নির্বাচন কমিশনের কোন সদস্যই নির্বাচনে প্রার্থী হইতে পারিবেন না। তবে তাঁহাদের ভোটাধিকার থাকিবে।
ঞ. প্যানেলে যুক্তভাবে অথবা স্বতন্ত্রভাবে যে কোন পদে যে কোন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে পারিবেন। তবে এক ব্যক্তি যুগপৎ একের অধিক পদে প্রার্থী হইতে পারিবেন না।
ট. নির্বাচন পরিচালনার সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশনার চলমান ছাত্রদের থেকে ভলান্টিয়ার নির্বাচন করতে পারবে।
ঠ. প্যানেল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তাদের শিরোনাম টেক্সটাইল-এর বিভিন্ন কাচামালের নামে হবে। যদি একাদিক প্যানেল কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী এক নাম প্রস্তাব করে নির্বাচন কমিশনার তা আলোচনা সাপেক্ষে মীমাংসা করে দিবে। তবে প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এক্ষেত্রে থাকলে প্যানেল প্রাধান্য পাবে।
ঢ. নির্বাচনী ব্যয়ের খাতঃ ব্যালট ও ব্যালট বাক্স আয়োজন, হল ভাড়া, নির্বাচনের দিন নির্বাচন কমিশন ও ভলান্টিয়ার ও পরিদর্শকদের পরিবহন ও আপ্যায়ন, সাউন্ড ও ডেকোরেশন খরচ, নির্বাচনী কাজে দলিলাদি ও তা সংরক্ষণ। তবে এর বাইরে আর কোন নির্বাচনী খরচ হলে তা সদস্য সচিব হতে অনুমোদন করে নিতে হবে।
ণ. প্রতিটি প্যানেল থেকে একজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে পারবে। তারা ভোট গ্রহন, গণনা ও ফলাফল ঘোষণা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
নির্বাচনের দিনেই ফলাফল ঘোষণা, শপথ পাঠ করা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার শপথ পাঠ করাবেন।
ত. অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন মুলতবী করার ক্ষমতা রাখেন। এক্ষেত্রে তিন দিনের দিনে তা পরবর্তী নির্বাচনের তারিখসহ বিজ্ঞপ্তি আকারে সকল সদস্যকে নির্বাচন কমিশন থেকে জানিয়ে দিবেন। পরবর্তী নির্বাচন এক মাসের মধ্যে হতে হবে।
দ. নির্বাচন পরবর্তী এক মাসের মধ্যে সকল নির্বাচনী খরচের হিসাব ও উদ্রিত টাকা পরবর্তী অর্থ সম্পাদককে বুজিয়ে দিতে হবে।
ধ. উপরোক্ত বিধিগুলোর আলোকে নির্বাচন কমিশনের কোন কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। উপরোক্ত বিধিগুলোর আলোকে ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের রায়ই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
ন. কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ার কমপক্ষে ১৫ দিন পূর্বে নির্বাচন সম্পন্ন করিয়া ফলাফল ঘোষণা করিতে হইবে।
প. নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ২১ দিনের মধ্যে বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটি নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে অডিট ও ইনভেনটরিসহ দায়িত্ব বুঝাইয়া দিবেন।
প. নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ২১ দিনের মধ্যে বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটি নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে অডিট ও ইনভেনটরিসহ দায়িত্ব বুঝাইয়া দিবেন।
ফ. কমিশনের মেয়াদ হবে একটি ক্ষমতা হস্তান্তরে সফল নির্বাচনের উত্তর একমাস।

ধারা-২৬

অনাস্থা প্রস্থাবঃ

ক. কার্যনির্বাহী কমিটি বা তার কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্থাবের জন্য কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য লিখিতভাবে সদস্য সচিবকে নোটিশ প্রদান করিবেন। নোটিশ প্রাপ্তির পর সদস্য সচিব কমিটি সভায় তা উত্থাপন করিবেন ও সভাপতি অবশ্যই তার উপর ভিত্তি করে সাধারণ সভা আহবান করিবেন। এক্ষেত্রে সাধারণ সভায় মোট সদস্য সংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে অনাস্থা প্রস্থাব পাস হইবে।
খ. অনাস্থা প্রস্থাব পাস হইলে পরবর্তী ত্রিশ দিনের মধ্যে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের অথবা শূন্যপদ পুরণের ব্যবস্থা করিতে হইবে।
গ. অনাস্থা প্রস্থাবের নোটিশ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে সভাপতি সাধারণ সভা আহ্বান না করিলে অনাস্থা প্রস্থাব কারীগণ নিজেরাই সাত দিনের নোটিশে সাধারণ সভা আহ্বান করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন। এক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্থাব পাস হইলে উক্ত সভায় কমপক্ষে পাঁচজন সদস্যের একটি অন্তর্বর্তীকালীন বা কেয়ারটেকার কমিটি গঠন করিতে হইবে অথবা যদি তাহা সম্ভব না হয় প্রথম অস্থায়ী আহ্বায়ক কমিটি অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করিবে।  এই কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

ধারা-২৭

অব্যাহতিঃ

কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কার্যনির্বাহী কমিটির কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্ধারা অ্যাসোসিয়েশনের নির্ধারিত কাজ বা দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়, তাহা হইলে কমিটি উক্ত কর্মকর্তাকে নোটিশ দিবেন এবং পরবর্তী কালে দুই- তৃতীয়াংশ কার্যনির্বাহী কমিটির ভোটে উক্ত কর্মকর্তাকে নিজ দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি দিতে পারিবেন। কার্যনির্বাহী কমিটির কোন সদস্য অ্যাসোসিয়েশনের জন্য ক্ষতিকর কাজে লিপ্ত হইলে তাহাকে ৭ দিনের নোটিশে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করিয়া তার জবাব প্রাপ্তির পর সাব-কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করিয়া কার্যনির্বাহী কমিটি অব্যাহতির বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন। এক্ষেত্রে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা সদস্যের কোন প্রকার আপত্তি গ্রহণযোগ্য হইবে না।

ধারা-২৮

পদত্যাগঃ

কার্যনির্বাহী কমিটির কোন কর্মকর্তা/সদস্য পদত্যাগ করিতে চাহিলে তিনি কারণ উল্লেখ পূর্বক সদস্য সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র পেশ করিবেন। কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবার পূর্ব পর্যন্ত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা যাইবে। এ বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

ধারা-২৯

বার্ষিক সাধারণ সভার কাজঃ

বার্ষিক সাধারণ সভায় নিম্নোক্ত কার্য সম্পাদিত হইবে,

ক. সাধারন সম্পাদক কর্তৃক প্রণীত ও কার্যনির্বাহী কমিটির দ্ধারা অনুমোদিত বার্ষিক রিপোর্ট বিবেচনা;
খ. বিগত বছরের ‘অডিট রিপোর্ট’ বিবেচনা ও হিসাব নিকাশ অনুমোদন;
গ. কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রস্তাবিত ও অর্থসম্পাদক কর্তৃক উপস্থাপিত বাজেট অনুমোদন;
ঘ. ধারা-২৫ অনুসারে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ;
ঙ. প্রয়োজনে গঠনতন্ত্র ও বিধি প্রণয়ন, সংশোধন, পরিবর্তন ও অনুমোদন;
চ. সভাপতির অনুমতিক্রমে অন্য যে কোন বিষয় উত্থাপন ও আলোচনা।
ছ. সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভার সকল সিদ্ধান্ত উপস্থিত ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইবে। সমান সমান ভোটের ক্ষেত্রে সভাপতি কাস্টিং বা নির্ধারণী ভোট দিতে পারিবেন।
জ. সাধারণ সম্পাদক সাধারণ পরিষদের সভার অন্তত দশ দিন পূর্বে সদস্যদের নিকট হইতে প্রাপ্ত সকল প্রস্তাবের নোটিশ কার্যনির্বাহী পরিষদের নিকট পেশ করিবেন এবং এইসব প্রস্তাব কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক বিবেচিত হইলে তাহা সাধারণ সভায় উপস্থাপন করিবেন।
ঝ. সম্মানিত আজীবন সদস্য, প্রধান পৃষ্ঠপোষক অ্যাসোসিয়েশনের সভায় যোগদান এবং ভাষণদানের জন্য যোগ্য হইবেন।

ধারা-৩০

তহবিলঃ

তহবিলসহ সকল সম্পত্তি অ্যাসোসিয়েশনের নামে অর্জিত, স্বীকৃত ও পরিচালিত হইবে এবং তাহা অ্যাসোসিয়েশনের নিকট ন্যাস্ত থাকিবে। বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা, সদস্যদের চাঁদা এবং সরকার হইতে অনুদান লইয়া অ্যাসোসিয়েশনের তহবিল গঠিত হইবে। অ্যাসোসিয়েশনের এই তহবিলের অর্থ কার্যনির্বাহী কমিটি যে কোন তফসিলী ব্যাংক (ব্যাংকসমূহে অথবা ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পে অথবা লিজিং কোম্পানী, প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্র কিংবা অধিকতর লাভজনক প্রতিষ্ঠানে) জমা রাখিবেন। তবে, বার্ষিক সাধারণ সভায় এই সমস্ত তহবিলের অবস্থান অবহিত করিতে হইবে।

ধারা-৩১

তহবিলসমূহঃ

ক. নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে অর্জিত অর্থ বিশেষ তহবিলে জমা রাখিতে হইবে।
খ. সকল আজীবন সদস্যের চাঁদা ডিউটি তহবিলে জমা হইবে। কার্যনির্বাহী কমিটি চলতি বছরের অর্জিত চাঁদার অনধিক শতকরা ৫০ ভাগ সাধারণ তহবিলে স্থানান্তর করিতে পারিবে (স্থায়ীভাবে অথবা সাময়িক ঋণ হিসাবে)।
গ. প্রবেশ ফি, বার্ষিক চাঁদা ও বিবিধ সূত্রে প্রাপ্ত অর্থসমূহ সাধারণ তহবিলে জমা হইবে।
ঘ. আজীবন সদস্য ব্যতীত সকল সদস্যকে প্রত্যেক বৎসরের বার্ষিক চাঁদা অ্যাসোসিয়েশনের স্বার্থে অগ্রিম প্রদান করিতে হইবে।

ধারা-৩২

বিনিয়োগঃ

অ্যাসোসিয়েশনের স্বার্থে কার্যনির্বাহী কমিটি সমীচিন মনে করিলে ডিউটি তহবিলের টাকা সরকারি সিকিউরিটি, সঞ্চয়পত্র বা অন্য কোন লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করিতে পারিবে।

ধারা-৩৩

ব্যাংক হিসাব পরিচালনাঃ

অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাংক হিসাবসমূহ অর্থসম্পাদক/ অর্থসম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদক অথবা সভাপতি-এর যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হইবে। কোন কারণে অর্থসম্পাদক অথবা  সহকারি অর্থসম্পাদক অনুপস্থিত থাকিলে বাকী দুই জনের যৌথ স্বাক্ষরে চলবে। ব্যাংক হিসাব পরিচালনার জন্য চেক-এ স্বাক্ষরদাতাদের নমুনাসহি সভাপতি কর্তৃক অ্যাসোসিয়েশনের সীলমোহরসহ সত্যায়িত হইতে হইবে।

ধারা-৩৪

হিসাব নিরীক্ষাঃ

সদস্য সচিব কর্তৃক নিয়োগকৃত হিসাব নিরীক্ষকের দ্ধারা হিসাব নিরীক্ষা করে কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সাধারণ সম্পাদক তাহা বার্ষিক সাধারণ পরিষদের সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করিবেন। হিসাব নিরিক্ষক সদস্যদের থেকে মনোনিত করা অথবা যে কোন প্রাইভেট অডিট ফার্ম দিয়ে করা যেতে পারে।

ধারা-৩৫

গঠনতন্ত্রের সংশোধনীঃ

ক. গঠনতন্ত্র ও বিধি সংশোধনের প্রস্তাব কেবলমাত্র সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভায় অথবা এতদুদ্দেশ্যে আহুত বিশেষ সাধারণ সভায় বিবেচিত হইবে।
খ. এরূপ প্রস্তাব কার্যনির্বাহী কমিটি বা যে কোন সদস্য সংশোধনের জন্য উত্থাপন করিতে পারিবেন।
গ. কোন সদস্য কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাব প্রথমে সদস্য সচিবের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটিতে বিবেচিত হইবে এবং কোন সংশোধনী থাকিলে তাহাদের মতামতসহ বিবেচনার জন্য সাধারণ সভায় পেশ করা হইবে।
ঘ. এই গঠনতন্ত্রের কোন ধারা, উপ-ধারা বা শব্দের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন, সংকোচন, সংযোজন বা রদবদলের প্রয়োজন হইলে সাধারণ সভায় উপস্থিত দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে তাহা সংশোধন করা যাইবে।
ঙ. সাধারণ পরিষদের সভায় অনুমোদিত সংশোধনী গৃহীত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাহা গঠনতন্ত্রের অংশ হিসাবে গণ্য হইবে।
চ. সংশোধনী সংবিধানে সংযুক্তি হিসেবে যোগ হবে ও তার ভুমিকায় প্রেক্ষাপট উল্লেখ করতে হবে।

ধারা-৩৬

বিলুপ্তিঃ

অ্যাসোসিয়েশনের বিলুপ্তির প্রস্তাব সাধারণ পরিষদে অ্যাসোসিয়েশনের তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের ভোটে গৃহীত হইলে উক্ত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের মাধ্যমে ঘোষণা দেওয়ার পর অ্যাসোসিয়েশন বিলুপ্তি হইবে অথবা যদি ক্রমাগত তিন বছর ধরিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা এত কম হয়, যাহা কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়, তবে অ্যাসোসিয়েশন অবলুপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

ধারা-৩৭

বিলুপ্ত অ্যাসোসিয়েশনের সম্পত্তিঃ

অ্যাসোসিয়েশন বিলুপ্ত হইলে, সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অন্য কোন সিদ্ধান্ত না থাকিলে অত্র অ্যাসোসিয়েশনের সকল দায়মুক্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী-এর সম্পত্তি হিসাবে গণ্য হইবে।

ধারা-৩৮

নির্ভরযোগ্য পাঠঃ

বাংলায় এই গঠনতন্ত্রের একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ ও ইংরেজিতে অনুদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ থাকিবে এবং উভয় পাঠ নির্ভরযোগ্য বলিয়া গণ্য হইবে; তবে শর্ত থাকে যে, বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

This post is also available in: English